স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে ফিরে রেসকোর্সে ভাষণ দিলেন – “আমি বাঙালী, আমি মুসলমান। আমার বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র”। আর হ্যাঁ, যদি তিনি মুসলিম না হতেন- বাংলার নেতা হতে পারতেন না। যদি তিনি মুসলিম না হতেন- বঙ্গবন্ধু হতে পারতেন না।
কারণ, দ্বি-জাতিতত্ত্ব তথা ইসলাম বিধৌত সংস্কৃতির ভিত্তিতে ১৯৪৭ -এ পূর্ব পাকিস্তান নামে স্বাধীন হওয়া ভূখন্ড’ই ১৯৭১ -এ সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নামে স্বাধীনতা লাভ করে।
ভারত কে বলা হয়ে থাকে হিন্দু রাষ্ট্র। আর বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্র। কেন? ধর্মীয় সংস্কৃতির আলোকে। দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে।
হে, মুক্তিযোদ্ধা!
হে, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম!
একটি মূর্তি-ই পারে বাংলাদেশের আত্মপরিচয় তথা স্বাধীনতার মৌলিকতা পাল্টে দিতে। নতুন সংকট জন্ম দিতে। কারণ, “বিশেষ ব্যাক্তির প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনে পাথর-মাটি ইত্যাদি দ্বারা ভাস্কর্য বানানোর মধ্যদিয়েই মূর্তির উৎপত্তি, যা ভক্তি প্রদর্শনের মধ্যদিয়ে পরবর্তিতে ‘মূর্তি পূজা’য় রূপ নেয়”। তাই ‘বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য’ নামে মূর্তির আড়ালেও গড়ে উঠতে পারে নতুন এক পৌত্তলিক সমাজ। তখন মনে হবে -দ্বি-জাতিতত্ত্ব অবাস্তব, অবান্তর, কাল্পনিক।
পরবর্তী প্রজন্ম অকপটে বলবে -এটাও হিন্দুস্তান। তখন হাস্যকর হবে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য, মুছে যাবে বাংলাদেশের সীমানা। উড়বে না লাল-সবুজের পতাকা।
লাখো-কোটি শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ‘ইনশাআল্লাহর স্বাধীনতা’য় শিল্পকলার নামে পৌত্তলিক চেতনার আমদানি আর ভাস্কর্যের নামে মূর্তির বাড়াবাড়ি রুখতে সদাজাগ্রত থাকুক বাংলাদেশের অতন্দ্রপ্রহরী- মুক্তিযোদ্ধা – মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম।
ওরা! হইচই করছে করুক। যা খুশি বকছে- বকুক। পাগলের সুখ মনে মনে। প্রাণীর অবয়ব ধারণকারী ভাস্কর্য – মূর্তি, মূর্তি এবং মূর্তি। যত দিন বাঁচবে বাংলাদেশ! স্বরণীয় রবে বঙ্গবন্ধু! ইনশাআল্লাহ….