হাওর অঞ্চলের ৭৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে। শুক্রবার (১ মে) কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফসার মো. কামরুল ইসলাম ভূইয়া এ তথ্য জানান।

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিমধ্যে হাওরের প্রায় ৭৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে। পাকা অবস্থায় রয়েছে ১০ শতাংশ। এছাড়া, এখনো ১৩ শতাংশ ধান পাকে নাই। সারা দেশে ১৬ শতাংশ  বোরো ধান কাটা হয়েছে।’

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, বেশ কিছুদিন আগে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লম্বরী গ্রামের কয়েকটি গাছে ঘাস ফড়িংয়ের মতো কিছু ছোট পোকার আক্রমণ দেখা দিলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের উপপরিচালক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকাগুলো দমন করেন।

আবারও ঘাসফড়িং সদৃশ এসব পোকা আবারও দেখা দিলে কৃষি মন্ত্রণালয় এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে।

শুক্রবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি দল টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) থেকেও পৃথক পৃথক টিম রওয়ানা দিচ্ছে। ঘাসফড়িং সদৃশ লোকাস্ট গোত্রের স্থানীয় এই পোকার শনাক্তকরণসহ আক্রমণ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও ধ্বংসে এই টিম কাজ করবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম জানান, গতকাল কীটনাশক স্প্রে করার পর গাছে থাকা পোকাগুলো মরে গেছে। সেখানে জীবিত কোনো পোকা নেই। এই পোকা তেমন ক্ষতিকর নয় মর্মে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এগুলো পঙ্গপাল জাতীয় কোনো পোকা নয়। এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’