স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীরা। বৃহত্তর উত্তরার উত্তরখান, দক্ষিণখান, তুরাগ, বিমানবন্দরসহ উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিমে ডিএনসিসির ওয়ার্ডগুলোতে নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে এ কর্মযজ্ঞ। নির্বাচনী প্রচারণা মাঠে কয়েকটি ওয়ার্ডে বিএনপি প্রার্থীদের প্রচারণা মাইক ভাংচুর, কর্মীদের মারধর, পোস্টার ছিড়ে ফেলাসহ কার্যালয়ে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী ৪৮,৫০, ও ৫৩নং ওয়ার্ড থেকে এমন ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্বাচনের মাঠে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী। কেননা, বিএনপি এবারের নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেখছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। আর উত্তরায় অবস্থিত বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরাও দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মেয়র ও নিজেদেরকে (কাউন্সিলর) বিজয়ী করতে মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে ডিএনসিসি ১নং ওয়ার্ডে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন উত্তরা নিউজকে বলেন, ‘নির্বাচনের মাঠে কোন ভয় পাচ্ছিনা। ভয়কে আমরা অনেক আগেই জয় করেছি। তবে, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এজন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।’ ৫১ নং ওয়ার্ডে দলটির মনোনীত প্রার্থী আফাজ উদ্দিন বলেন, কোন প্রকার ভয়-ভীতি নেই আমাদের। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে আমাদের শঙ্কা রয়েছে।’ বিষয়টি নিয়ে একই মতামত জানিয়েছেন ৪৭নং ওয়ার্ডে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোতালেব হোসেন রতন। এ ব্যাপারে ৫৩নং ওয়ার্ডে বিএনপির প্রার্থী মোস্তফা জামান বলেন, ‘আমার কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। মাইকে হামলা করা হয়েছে। নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। তারপরও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমরা জয়ী হবো।’ সিটির ৫০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেওয়ান মোঃ নাজিম উদ্দিনও এমনটা জানিয়েছেন।
তবে, ভোটের মাঠে বিএনপি শিবিরে প্রতিপক্ষের দু-একটি হামলার ঘটনা ঘটলেও ভয় নয় বরং ৩০ জানুয়ারি সুষ্ঠু ভোট হলে নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির এসব কাউন্সিলর প্রার্থীরা।