এম.শরীফ হোসেন, মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি : আঃ হামিদ(৩৪) একজন খেটে খাওয়া পরিশ্রমী মানুষ। পিতামৃত সোনা মিয়া মীর। জন্ম থেকেই এক বিরল রোগে আক্রান্ত। প্রথমে ঘাড়ের মাঝে ক্ষুদ্রাকারে সমস্যাটি দেখা দেয়। পরিবারের লোকজন তাকে গর্ভের চিহ্ন মনে করে এড়িয়ে গেলেও ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে।নরসিংদী জেলার মাধবদীর কান্দাইল বাসস্ট্যান্ডের পাশেই একটি দরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠা আঃ হামিদের সমস্যাটি এক সময় ঘাড় হতে পুরো পিঠ জুড়ে ছড়িয়ে পরে। বছর কয়েক আগে রোগটি নিয়ে ডাক্তারের কাছে শরণাপন্ন হলে তা অপারেশণ করতে হবে বলে জানান ডাক্তার। কিন্তুু আর্থিক অস্বচ্ছতার কারনে তা আর হয়ে উঠেনি। মান সম্মানের কথা ভেবে শত অভাব অনটনের মাঝেও হামিদ অসুস্থ শরীর নিয়ে মিল কারখানায় কাজ করে জীবন যাপন করেছে তবুও সাহায্য চেয়ে কারো কাছে হাত পাতেনি। আজ আঃ হামিদের জীবন সংকটাপন্ন। সে ৭ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানের পিতা। এদিকে রোগটি ধীরে ধীরে মারাক্তক পর্যায়ে চলে আসে। কয়েকটি স্থানে ঘাঁ হয়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। শরীর দূর্বল হয়ে পরেছে। পিঠের ওজন এতোটা বৃদ্ধি পেয়েছে যে উঠতে বসতে কষ্ট হয়। ঘুমোতে গেলে ব্যাথায় বিছানাতে পিঠ ঠেকাতে পারেনা। ফলে তিন মাস যাবৎ তার কাজ বন্ধ করে ঘরে বসে থাকতে হচ্ছে। ছোট কচি সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে আঃ হামিদ বাঁচতে চায়। এলাকা ও একটি ইসলামিক সংগঠনের সহায়তায় কিছু অর্থ যোগাড় করে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে তাকে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে রক্ত শূণ্যতায় তার শারিরিক অবস্হা খুবই দূর্বল। অপারেশণ এর আগে ও পরে তার শরীরে ধাপে ধাপে ৯ ব্যাগ রক্ত দিতে হবে। রক্ত দিয়ে শারিরিক সূস্থ্যতা দেখা দিলে রোগটির অপারেশণ করার বন্দোবস্ত করা হবে। এজন্য দরকার প্রচুর অর্থের। আঃ হামিদের খোঁজ নিতে গেলে সে ও তার পরিবারের সদস্যরা কান্না জড়িত কন্ঠে দৈনিক উত্তরা নিউজকে জানায়, হামিদ বাঁচতে চায়। তার সন্তান যেনো এতিম না হয় আর হামিদকে যেন অকালেই ঝরে যেতে না হয় সে জন্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থা এবং বিত্তবান দয়ালু ব্যাক্তিদের সাহায্য কামনা করে। আঃ হামিদকে সাহায্য পাঠানোর বিকাশ নাম্বার: 01881111298 (পার্সোনাল)।
এ জাতীয় আরো খবর..