ন্যায্য পাওনা আদায়ে সরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছেন। এ দাবিতে টানা ১৪ দিন ধরে ২য় শিফটের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। বুধবার তারা ঢাকা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে অডিটরিয়ামে কর্মবিরতি পালন করেন।
বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. ফেরদৌস বলেন, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান দ্বিতীয় শিফটের জন্য মূল বেতনের ৫০ শতাংশ দেয়া হলেও বর্তমানে তা কমিয়ে ২০০৯ সালের বেতন স্কেলের ৫০ শতাংশ দেয়া হচ্ছে। ২০১৮ সালে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা জারি করে অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য সম্মানী কমানো হয়েছে।
বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন ফরাসী বলেন, আমাদের ন্যায্য পাওনা আদায়ে গত ১৯ মাসে ৫ দফায় আন্দোলনে নামলেও শিক্ষামন্ত্রী, সচিব ও কারিগরি অধিদফতরের মহাপরিচালক দাবি আদায়ে আমাদের শুধু আশ্বাস দিয়েছে। তাদের প্রতি সম্মান রেখে আমরা আন্দোলন ছেড়ে ক্লাসে ফিরেছি। প্রায় দুই বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও সে আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় আমরা আবারও আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।
গত ১৯ মাসেও ভাতা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন না হওয়ায় তারা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ সম্মানী দিতে হবে। এছাড়া নিয়োগবিধি মোতাবেক কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর ও শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন পদগুলো কারিগরি কর্মকর্তা দ্বারা পূরণ করতে হবে। দাবি আদায়ে তাদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
এ বিষয়ে বুধবার বিকেলে আন্দোলনকারী শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বৈঠক হলেও সেখানে কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। তবে আগামী রোববার কেন্দ্রীয় কমিটি সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে বলে আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন।