বৃহস্পতিবার দক্ষিনখাঁন থানার মিয়া পাাড়া এলাকায় রাত ১১ টায় ঝড়ের সময় নির্মানাধীন ৮ তলা ভবনের ৫ তলার দেয়াল ধসে পাশের স্থানীয় আলাউদ্দিনের টিনশ্যাট বাড়ীতে পরে। এতে বাড়ীর বিদ্ধস্ত রুমের ভাড়াটিয়া গভীর ঘুমে মগ্ন খয়রুন নেছা (৭০), রুনি বেগম (৪০) ও তার মেয়ে মুন্নি আক্তার (১৮) মারাত্মক আহত হয়। আহতদেরকে দক্ষিনখাঁন কেসি হাসপাতাল নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খয়রুন নেছাকে মৃত ঘোষনা করেন এবং রুনি বেগম ও তার মেয়ে মুন্নি আক্তারকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তরিত করার সুপারিশ করলে, তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, দক্ষিনখাঁনের মিয়াপাড়া (মসজিদ সংলগ্ন) এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ৪ পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত সমিতি “স্বপ্ন নিবাস সোসাইটি” কর্তৃক নির্মিত এই ভবন। এটি ৪০ ফ্ল্যাট বিশিষ্ট ৮ তলা ভবন। ভবনটির বিক্রিত বিভিন্ন ফ্ল্যাট গ্রাহকদেরকে তড়িঘড়ি করে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নামে মাত্র সিমেন্ট দিয়ে ফ্ল্যাটের ভেতরের রুম তৈরীর জন্য দেয়ালের কাজ করে যাচ্ছিল বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
দেয়াল পরে বিদ্ধস্ত হওয়া বাড়ীর মালিক আলাউদ্দিন প্রতিবেদককে জানান, করোনা ভাইরাসের এই সংকট মূহুর্তে গত শনিবার তড়িগড়ি করে ৫ম তলায় সামান্য সিমেন্ট দিয়ে শ্রমিকরা দেয়াল নির্মানের কাজ করে। নির্মানের ৫ দিনের মাথায় এই ঘটনা ঘটে। আমরা স্বপ্ন সোসাইটিকে অনেকবার নোটিশ দিয়েছিলাম। তারা আমাদের নোটিশে কোন কর্ণপাত করেনি। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় ঘটনাটি ঘটলেও এখনও পুলিশ কোন মামলা নেয়নি।
এ বিষয়ে মৃত খয়রুন নেছার ময়না তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এসআই প্রদিপ জানান, আমি খয়রুন নেছার পরিবারকে মামলা করতে বলেছি। মামলা হলে বিদ্ধস্ত টিনশ্যাট বাড়ীর অবকাঠমো ঠিক আছে কিনা তাও তদন্ত হবে।