সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ কয়েকজন নেতাকর্মী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চমেক হাসপাতালের প্রধান ফটকে তারা হামলার শিকার হন। এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।
আহতদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমি রয়েছেন। অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি। আহতরা চমেক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। মহানগর ছাত্র অধিকারের দপ্তর সম্পাদক তানজিম হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ঘটনার পর জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকালে কয়েকজন নেতাকর্মী মিলে আমরা সীতাকুণ্ডে গিয়েছিলাম। এরপর সেখান থেকে এসে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের দেখেছি। পরে আমরা গাড়িতে উঠতে যাব এমন সময় হামলার শিকার হই। তারা ইট নিক্ষেপ করে হামলা করেছে। নেতাকর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে হামলা করেছে তারা। আমাদের সাতটি রাজনৈতিক দলের ২০ নেতাকর্মী এ সময় হামলার শিকার হয়েছেন। ’
তিনি আরো বলেন, হামলার সময় দুজন পুলিশ সদস্য এগিয়ে এসে রক্ষা করেছেন। অন্যদের তেমন ভূমিকা ছিল না।
আহত হাসান মারুফ রুমি বলেন, ‘‘হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রোগী দেখে ফিরে যাওয়ার সময় গোল চত্বরের সামনে আমাদের বহনকারী মাইক্রোবাসে একদল যুবক ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং হেলমেট দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। ছাত্রলীগের কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ’’
তবে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু রাত ৯টায় বলেন, ‘ছাত্রলীগের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। আমি শুনেছি তাদের (গণসংহতি আন্দোলনের নেতা) বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে তারা কটূক্তি করায় সাধারণ তরুণ-যুবকরা এর প্রতিবাদ জানায়। এ সময় তাদের প্রতিহত করতে গেলে ধাওয়া খেয়ে তারা আহত হয়েছেন। ’
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘তারা সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনায় আহতদের দেখে ফিরে যাওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসে হামলা করে। এতে উনি (জোনায়েদ সাকি) সামান্য আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। ’