গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল আলম সড়কের লকডাউনে থাকা ৬০টি অসহায় পরিবারের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত ৯ এপ্রিল প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা বদরুল আলমের স্ত্রী লিলি বেগমের শরীরে করোনা ভাইরাস পজেটিভ সনাক্ত হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশপাশের ৬০টি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেন। গতকাল মঙ্গলবার লিলি বেগম সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফিরেছেন। কিন্তু লকডাউনে থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, পৌর মেয়র এসএম ইকবাল হোসেন সুমন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী সহ থানা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুব উর রহমান পরিবারগুলোর খোঁজ নেননি। অথচ নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন লকডাউনে থাকা পরিবারগুলোর ১০মিটারের মধ্যে অবস্থিত।
জানা যায়, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা বদরুল আলমের স্ত্রী লিলি বেগম স্বাসকষ্ট জনিত অসুস্থতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রো বায়লোজি বিভাগে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেন। পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসায় ৯এপ্রিল লিলি বেগমকে নিজ বাসা থেকে এম্বুলেন্সযোগে ময়মনসিংহ বিশেষায়িত এস কে হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
ঐ রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুব উর রহমান রোগীর বাসাসহ আশপাশের ২৩টি বাসা-বাড়ির ৬০টি পরিবারকে লকডাউন ঘোষনা করে বিজ্ঞপ্তি দেন। এই ৬০টি পরিবারের মধ্যে রিকসা চালক, চা বিক্রেতাসহ অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার রয়েছে। নির্বাহী কর্মকর্তা লকডাউন ঘোষণা করলেও পরিবারগুলোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেননি, নিজে প্রতিবেশী হয়েও ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজ নেননি বা রোগী সুস্থ্য হলেও পরিবারগুলোর লকডাউন প্রত্যাহার করা হবে কিনা সে ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেই। ফলে লকডাউনে থাকা ৬০টি পরিবারের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
লকডাউনে থাকা পরিবারের এক সদস্য বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা তার কোন প্রতিনিধি আজ পর্যন্ত আমাদের খোঁজ-খবর নেয়নি। এটা আমাদের সাথে নিষ্ঠুরতা ছাড়া কিছুই নয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুব উর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফোন করে খোঁজ নিয়েছি। আমার প্রতিনিধি যাওয়া আর আমি যাওয়াতো একই কথা।