৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণ চাওয়া কৃষককে মারধর করা সেই চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, ৩৩৩ নম্বরে কল করে ত্রাণ সহায়তা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ১২ এপ্রিল দুপুরে কৃষক শহীদুল ইসলামকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে চৌকিদার। ইউএনও এসেছে এমন মিথ্যা কথায় ইউপি ভবনের একটি কক্ষে নিয়ে চৌকিদারের লাঠি দিয়ে শহীদুলকে মারধর করে চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার। এ ঘটনায় ১৫ এপ্রিল শহীদুল বাদী হয়ে চেয়ারম্যান সাত্তার, মেম্বার রেজা ও তথ্যসেবা কেন্দ্রের রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই থেকেই পলাকত ছিল আসামিরা। শুক্রবার সকালে চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার আইও লালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মনোয়ারুজ্জামান জানান, আসাামকে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আঙ্গারীপাড়া এলাকার ২০০-২৫০ গরিব মানুষ ২০-২৫ দিন থেকে কর্মহীন। এ অবস্থায় পরিবারের কথা চিন্তা না করে প্রতিবেশীদের জন্য সাহায্য পেতে শহীদুল ৩৩৩ নম্বরে ফোন দেন। রবিবার দুপুরে নামাজ শেষে বাড়ি এলে চৌকিদার তাকে বলে ইউনিয়ন পরিষদে ইউএনও এসেছে আপনার সঙ্গে কথা বলবে। সেখানে যাওয়ার পর কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়ে চৌকিদারের লাঠি নিয়ে চেয়ারম্যান তাকে মারধর করে। এরপর চেয়ারম্যান বলেন, ‘৩৩৩ নম্বরে কেন ফোন দিয়েছিস তার জন্যই এই শাস্তি। একথা কাউকে বললে তোর অবস্থা আরও খারাপ করে দিবো।’ বাড়ি আসার পর এলাকাবাসী তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করায়। এরপর ইউএনওকে জানালে তিনি তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।