নাগরিক জীবেন সকাল থেকে সন্ধ্যায় নানা ব্যস্ততার কারণে সময় মতো খাওয়া হয় না অনেকেরই। দিনের পর দিন এমন অনিয়ম করে গেলে তৈরি হয় অ্যাসিডিটি, লোকমুখে যা গ্যাস্ট্রিক নামে বেশি পরিচিত। শুধু আমাদের দেশে নয়, উপমহাদেশসহ বিশ্বজুড়ে এই সমস্যা রয়েছে। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ মানুষই অ্যাসিডিটি সমস্যায় কমবেশি ভুগছেন বলে এক গবেষণায় বলেছে আমেরিকান রিসার্চ সেন্টার অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি।
অ্যাসিডিটির সমস্যাটাকে খুব মামুলি বিষয় হিসাবে দেখা হয়। কর্মব্যস্ত জীবনে একটাকে ‘পার্ট অব লাইফ’ বলেন কেউ কেউ। কিন্তু অ্যাসিডিটির জন্য নিয়মিত ওষুধ খেয়ে গেলে শরীরে অন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যা অনেকেই তোয়াক্কা করেন না। বুকজ্বলা, অ্যাসিডিটির হলেই মুঠোয় মুঠোয় ওষুধ খাওয়া মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। সমান্য কিছু নিয়ম মেনে চললেই দিন কয়েকের মধ্যেই পাবেন অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি।
অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন, লবণ, তেল, মরিচ দেওয়া খাবার অর্থাৎ বেশি বেশি তেল-মসলা দেওয়া খাবার খাবেন না
অ্যাসিডিটির যত কারণ
পাকস্থলীর গ্যাসট্রিক গ্ল্যান্ডে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণের ফলে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা হয়। সাধারণত অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে, অতিরিক্ত চা, কফি খেলে বা অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা ইত্যাদি কারণে পেটে গ্যাস হতে পারে। অ্যাসিডিটির কারণেই পেট ফুলে ওঠে, ঢেঁকুর ওঠে, বুকজ্বলা করে এবং পেটের অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।
অ্যাসিডিটি এড়াতে যা যা করবেন
ধূমপান, মদ্যপান, দুধ চা, কফি এবং অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধ এড়িয়ে চলুন